কবিতা - ১


কাজলকালো চোখের নিচে জোৎস্নাকালো দাগ,
ফুলো নাকে জমিয়ে রাখা রাগ,
তোমার সকল কষ্ট - যাও ভুলে,
মার্কামারা হাসিখানা দেখাও মুখটা তুলে।
‘ব্যথা’ তোমার শোনায় ন্যাকামির মত,
ও কিছু নয়, সারবে একা - তোমার সকল ক্ষত।
তোমায় আমায় বিরোধ আছে - থাক,
তোমার ইচ্ছেগুলো যাক না - চুলোয় যাক।
বলছি আমি রাধোঁ ইলিশ, কষ্ট হলে নাকটা তোমার বাঁধো,
কান্না পেলে জল না ফেলে কাঁদো।
আমার তাতে যায় না কিছুই, আসবে না তাও জানি,
রান্না হল? হয়নি? তবে? দাঁড়াও জুতো আনি।
ভালোবাসা? তোমার প্রতি? আমার আবার ওসব ছিলো কবে?
বলছি আমি অতীত ছাড়ো, শুধু বর্তমানেই রবে।
প্রেম তো নয়ই, তোমার প্রতি মোহ ছিলো আগে,
কারন - তোমার বাবার গুদামখানা পেতাম আমি ভাগে।
মিটলো কি সেই আশাটুকু? মরলো বুড়ো হেঁচে,
দাহ তার করতে হলো গুদাম খানা বেচে।
তারচে ভালো বদুর বেটি, ফিগার খানা জোস,
তোমার করা পানের খিলি খাওয়াই তারে রোজ।
নিকা-বিয়ার নেই ঝামেলা, ন্যকামি তার নাই।
মাগি একে রান্না বলে? আমি বরং তার কাছেই যাই।

বিঃদ্রঃ

এই কবিতাটি লেখার অনুপ্রেরনা পেয়েছি রুদ্রনীল ঘোষের “দাদা, আমি সাতে পাঁচে থাকিনা” শীর্ষক আবৃতি থেকে। আমার এই কবিতাটি সেই সকল পুরুষদের জন্য উৎসর্গ করলাম - যারা নিজের অর্ধাঙ্গীনীর সাথে মার্জিত আচরণ করেন না, তার দুঃখে সহমর্মিতা প্রকাশ করেন না, তাকে কাজের মেয়ের মত মনে করেন, ঘরের চাইতে পর যাদের কাছে লোভনীয়। কবিতাটির নাম কি দেওয়া যেতে পারে আমি নিশ্চিত নই বলে নামকরণ সম্ভব হল না।

Comments